ছাত্রলীগ আমাদের আস্থার ঠিকানা, নির্ভরতার জায়গা বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মনে রাখতে হবে, এভাবে ছাত্রলীগ চলতে পারে না। এইভাবে চলবে না। সংগঠন দাঁড় করাতে হবে।
গতকাল রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বর গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাদের সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের সময় দিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কমিটি গঠন করবেন, না হলে সেই কমিটি ওই তারিখে বিলুপ্ত বা বাতিল হয়ে যাবে। তখন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করতে হবে। ঢাকা থেকে কমিটি ঘোষণা দিয়েন না। এই কমিটি দিয়ে কোনো কাজ হবে না।
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে নানক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ঢাকা শহরে তখন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারার কারণে ১০৯টি (ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখা) কমিটি ভেঙে দিয়েছিলাম। বাতিল করে দিয়েছিলাম ব্যর্থতার জন্য। ১১ দিনের মাথায় আবার ১০৯টি কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি এখনো কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ‘ক্যান্টনমেন্ট’। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর এই ছাত্রলীগ, যুবলীগই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করেছে। কাজেই ছাত্রলীগ আমাদের আস্থার ঠিকানা, নির্ভরতার জায়গা।
এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকেন, তার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে মাতম করেন, তাণ্ডব চালিয়েছেন। আমাদের সহ্যের বাধ যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে না। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজর সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: