উপজেলা নির্বাচন : শেরপুরের শ্রীবরদীতে জুয়েল, ঝিনাইগাতিতে বাদশা বিজয়ী

শেরপুর প্রতিনিধি | ৯ মে ২০২৪, ০০:৩৪

ছবিঃ সংগৃহীত

৮ মে প্রথম ধাপে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৫১২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালাহ উদ্দিন ছালেম কৈ মাছ প্রতীকে ১৯০১০ ভোট পেয়েছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম জুয়েল।

ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮,৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটর সাইকেল প্রতীক আ’লীগ নেতা মো. ফারুক আহমেদ ফারুক পেয়েছেন ১৬,০৫৩। বিজয়ী মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বিএনপি থেকে সম্প্রতি বহিষ্কার করা হয়।

প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। শ্রীবরদী উপজেলায় ৮৬ কেন্দ্রের কোথাও কোন গোলযোগ হয়নি। ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৫৫ ভোট কেন্দ্র বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্ত ছিল। তবে দু’ উপজেলাতেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রীবরদীতে ৩৪.২৫ শতাংশ এবং ঝিনাইগাতীতে ৩৫.৬৩ শতাংশ ভোট পরেছে।

বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন র‌্যাব ১৪ কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান। এরপর বিকেল পৌনে ৪টায় ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দেখতে যান জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম।

উপস্থিত সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পরিস্কার নির্দেশ ছিল, “নির্বাচনে টু শব্দ হবে না। আমরা সে নির্দেশনা সফলতার সাথে পালন করতে পেরেছি। দুই উপজেলায় কোন ঝামেলা হয়নি।"

র‌্যাব ১৪ কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান বলেন, সবাই যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন সেজন্য র‌্যবের ৪টি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ পক্ষপাতহীন নির্বাচন। জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, প্রশাসন জনগনকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছে। এতে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না। তাই অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে। নির্বাচনে তিন প্লাটুন বিজিবি, ৪২৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৯৯৫ জন আনসার এবং র‌্যাবের ৪টি টহল দল নিরাপত্তা বিধান করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: