দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি নির্বাচনে দলের নেতাদের ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হওয়ারও ক্ষেত্রেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
তবে দলের এমন কঠোর অবস্থানের মধ্যেও দেশের বেশ কিছু উপজেলায় বিএনপির পদধারী অনেক নেতাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ দলের সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথাও বলেছেন।
জানা যায়, প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন আসন্ন নির্বাচনে। স্থানীয় জনগণের চাওয়া থেকেই তারা প্রার্থী হয়েছেন বলে তাদের অনেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দলীয় নির্দেশনা মানছেন না। আবার অনেক প্রার্থী আছেন দোদুল্যমান অবস্থায়। কী করবেন– তা নিয়ে রয়েছেন সিদ্ধান্তহীনতায়।
জানা যায়, ঈদের আগে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে বিএনপির দুটি বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। ফলে উপজেলা নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটি।
সর্বশেষ গত সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সরকারের অধীনে আসন্ন চার ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দলটি বলেছে, ক্ষমতাসীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এ জন্য আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: