সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা ও মিথ্যা মামলা দেয়ায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তিসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সচিবের পদত্যাগ দাবিও করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে মির্জা ফখরুল তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়ির বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক ও রাজনীতিবীদের বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে। আর কিছু মানুষ চাটুকারিতা করছেন। এ অবস্থায় নিপীড়নের রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে মানুষের আস্থা থাকবে না।
ফখরুল আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের লেখা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই দেশে সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকদের কোনো অধিকার নেই। গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভই হলো সংবাদমাধ্যম এবং গণতন্ত্রের মূল কথাই হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সেই মিডিয়াকর্মীদের যদি এভাবে হেনস্থা করা হয় তাহলে গণতন্ত্র কোথায়? গণতান্ত্রীক সমাজব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার যে নীল নকশা তা পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। এদেশে এখন পর্যন্ত সাংবাদিক নির্যানতন ও সাংবাদিক হত্যার কোনো বিচার হয়নি। এমপি, মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ লেখা হলেই সাংবাদিকদের পেটানো হয়। একই কারণে প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
ফ্যাসিবাদের অন্যতম হাতিয়ার হলো ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা মন্তব্য করে ফখরুল আরো বলেন, এই ফ্যাসিবাদকে রুখতে হলে আত্মরক্ষা ও নিজেদের অধিকার রক্ষা করবার জন্য সমাজের বিবেকবান ও পেশাজীবী মানুষদের সকলকে সংঘবদ্ধ হতে হবে। ফ্যাসিবাদের অবশ্যই একদিন পতন হবে, এর পরিণাম কখনোই শুভ হয় না। বাংলাদেশ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। কারখানায় ঢুকিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে।
ফখরুল আরো বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হচ্ছে। তার সুচিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা বিদেশে যাওয়ার কথা বললেও সরকার তা নাকচ করে দিচ্ছে। কারণ সরকার মনে করে বেগম জিয়া গণতন্ত্রের একজন সৈনিক, তাকে বাইরে আসতে দেয়া যাবে না । এজন্য প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্য মামলা দিচ্ছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লক্ষ দেয়া হয়েছে।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: