জ্বালানি আমদানি, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় না করে বা সারে কিংবা নিত্যপণ্যে ভর্তুকি না দিয়ে চরম অর্থিক সংকটের সময় ইভিএম এ নির্বাচন করার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রজেক্ট নিয়েছে বর্তমান আওয়ামী সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশন এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বুধবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চর গোরকপুর বাজারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেল, সার, সকল প্রকার দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং ভোলায় বিক্ষোভে গুলি করে দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে তৃণমূলে আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ধুরাইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় প্রিন্স আরো বলেন, জোর করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে গেলে আওয়ামী লীগকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
'২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন তখন ১৫৪ টি আসনে পছন্দের প্রার্থীদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণার মতোই আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা জবর দখল রাখতে দলীয় প্রার্থীদের ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি করে বিজয়ী ঘোষণা করতে ১৫০ টি আসনে সরকারের ইশারায় ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনুগত নির্বাচন কমিশন।
'আওয়ামী লীগ জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের শোচনীয় পরাজয় হবে। সে জন্য তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের গণদাবি না মেনে ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী সরকার ও নির্বাচন কমিশন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। গ্রাম-শহরে, পাড়া-মহল্লায় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে এখন ইস্পাত কঠিন ঐক্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করেতে হবে যেন চলমান আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়।
চরগোরকপুর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দিন মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও যুবনেতা প্রভাষক মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ মোঃ শাকেরউল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবীর, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, আবদুল হামিদ, আলমগীর আলম বিপ্লব, উপজেলা বিএনপি নেতা কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান মিজান, আবদুল মোতালেব, আবদুল জলিল, মফিজ উদ্দিন, মোনায়েম তালুকদার খোকন, বোরহান উদ্দিন ঢালি,নুরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, মন্জুরুল হক, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন পাপন, জাসাস আহ্বায়ক রাশেদুল আলম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলমাস ক্বারী, সেলিম মিয়া, এমদাদ হোসেন, নুরুজ্জামান মাস্টার, আরিফ মাস্টার, আবদুল বারেক, মোঃআলাউদ্দিন, মোঃএমদাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান, আবু তালেব, সোলায়মান বাদশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: