লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও অস্বাভাবিক মূদ্রাস্ফীতির প্রতিবাদে শেরপুর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকালে সমাবেশ টি শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়ছে।
এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেজ আলী মামুন, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী,জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ,জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শওকত হোসেন প্রমুখ।
ঔ সময় সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি চালিয়ে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। দেশের মানুষের দাবি আদায়ে বিএনপির এই দুই নেতার আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে এই জুলুমবাজ, লুটেরা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হবে।
বক্তারা আরও বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে এই অবৈধ সরকার আবারও প্রমাণ করেছে, তারা জুলুমবাজ ও গণতন্ত্র বিরোধী। শুধু জনগণের টাকা লুট করতেই জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমার পরও তেলের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের রক্ত চুষে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ সময় সকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলের ওপর সব উৎপাদন ও যোগযোগ নির্ভরশীল। সব মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সীমাহীন মুদ্রাস্ফীতির কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন। তার ওপর আরেক দফা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে মানুষের না খেয়ে মরা ছাড়া কোনো গতি থাকবে না। কিন্তু তাতে লুটেরা, ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো যায় আসে না।
এছাড়াও সর্ব পরিস্থিতিতে এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: