আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমরা একটানা ১৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এই ১৪ বছরে আমরা বিএনপির উপর কোন অত্যাচার নির্যাতন করিনি।
অথচ ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই বিএনপি আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো। ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলো। গাভিন গরু পর্যন্ত জবাই করে খেয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু বিএনপি যখনই সুযোগ পায় তখনই আমাদের উপর অত্যাচার করে। তিনি আরো বলেন, এই তো সেই দিন ভোলাতে বিএনপি সমাবেশ করেছে। সব দলই করতে পারে।
কিন্তু বিএনপি অহেতুক সমাবেশের মাধ্যমে যে ভাবে পুলিশের উপর তান্ডবলীলা চালিয়েছিলো , সেটা আমাদের শাসন আমলে ১৪ বছরে এই ঘটনা ঘটেনি। তারা ঘটিয়েছে। ২০০১ এর পর আপনারা (আ’লীগের নেতাকর্মী) বাড়ি ঘরে থাকতে পারেননি। সময় এসেছে আপনাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা। আপনার ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সময় এসেছে আপনাদের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন কেউ কিছু করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেকটা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে ডাক দিলে ১০হাজার লোক এসে উপস্থিত হয়। এ কথা মনে রাখতে হবে। আবার যদি বিএনপি এ অত্যাচার শুরু করে পাল্টা জবাব দিতে হবে। আমাদের কারো প্রতি কোন প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছা নেই। বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি কথায় কথায় বলে আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নাই। এ ১৪ বছর ধরে বিএনপির মহাসচিবের মুখ থেকে এ একটাই কথা আমরা শুনি । সে বক্তৃতা দিয়ে ও প্রেস ব্রিফ্রিং করে বিএনপি দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। এ ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নাই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, যে কোনো সময় আমরা বিদায় নিবো। এতো সহজ? বার বার আমাদের দ্বারা বিদায় নিয়েছে বিএনপি। বিএনপি ১৫ ফেব্রুয়ারী ইলেকশন করেছিল, আবার (আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে) ৩১মার্চ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। আমারা সেই দল। এতো সহজ না। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নাই। তিনি দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সমস্ত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে নির্বাচন। আর মাত্র দের বছর আছে। আপনারা এক থাকবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকাতে হবে। শক্তিশালী সংগঠন হলে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে অত্যান্ত সুন্দর ভাবে পরিচালনা করছে। আজকে তিনি গ্রামকে শহর করেছে। ভোলাতে বিদ্যুতের সংটক হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যর রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম, ভোলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম, শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আবু সায়েম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক হাসান আলী খান, জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক খদিজা আক্তার স্বপ্না, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মামুন আল রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন, তাঁতী লীগের আহবায়ক এনামুল হক ফরমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাইহান আহমেদ। এছাড়াও সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন লাভু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুস, সদও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ জেলা, সদর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নের্তকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: