আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আর্ন্তজাতিক বিশ্বব্যাপী এখন জ্বালানী সংকট চলছে। এই সংকটে আমরাও পড়েছি। তবে আশা করি আমরা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এ সমস্যা থেকে উত্তরণ হতে পারব। তবে এ ব্যাপারে আমাদের সকলেই সহযোগীতা চাই। জ্বালানি তেলের সংকট হলে মানুষের কষ্ট হয় এটা আমরা চাইতে পারি না । আমাদের একটু সহ্য করতে হবে। আমরা মনে করবো এই সমস্যা থেকে আমরা উত্তরন হতে পারব।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় ভোলা সফর কালে বাংলা বাজার স্বাধীনতা যাদুঘর কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, পদ্মাসেতু দেশের অর্থনীতির উন্নতি অনেক বৃদ্ধি করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব গতিশীল। কতো বাধার পরও প্রধানমন্ত্রীর কারণেই তার দৃঢ়তার জন্য আমরা পদ্মা সেতু করতে সক্ষম হয়েছি। ভোলা-বরিশাল ব্রীজও একদিন হবে। ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রীজও একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের একটানা ১৪ বছরের ক্ষমতাকালীন বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীরা “রাজপদ দখল করার কথা বলে” একই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজপদ দখল করা এত সহজ না। রাজপথ দখল করেছি আমরা। আওয়ামী লীগের আন্দলনের মুখে ১৯৯৬ সালে বিএনপি মাত্র দেড় মাসের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন করেছে আর ৩১ মার্চ ক্ষমতা ছেড়ে বিদায় নিয়েছে। এটাকে বলে আন্দোলন। ১৯৬৯ সালে আমরা আন্দোলন করে আইউব খানকে বিতাড়িত করেছি। এটাকে বলে আন্দোলন। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক দল। যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যন্ত।
এর আগে তিনি সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সড়ক পথে পদ্মাসেতু হয়ে ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে এসে পৌঁছালে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে প্রিয় নেতাকে অভ্যার্থনা জানানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে ভীর জমাতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় তোফায়েল আহমেদ ভেদুরিয়া ঘাটে নামার সাথে সাথে কয়েক হাজার উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মী মুহূর্মুহু শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে তোফায়েল আহমেদ ভেদুরিয়া থেকে ভোলা জেলা শহরে আসার পথে পথে রাস্তার দুই পাশে ভোলার অভিভাবক প্রিয় এই নেতাকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুই পাশে ভীড় করেন। এছাড়া হাওলাদার বাজার, পরাণগঞ্জ বাজারসহ পথে পথে বেশ কয়েকটি স্থানে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তোফায়েল আহমেদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: