আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট—সবাইকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রোববার পদ্মা সেতু এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। যত সমালোচনা হয়েছে, আমাদের মনোবল আরও দৃঢ় হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। বিশ্বব্যাংক ভুল স্বীকার করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পুরো পরিবারের ওপর দুর্নীতির অপবাদ দিয়েছিল। পরে বিশ্বব্যাংক ভুল স্বীকার করেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার চুক্তি করেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরে গিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। পরে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার স্বপ্নের সেতু। এই সেতু আমাদের সামর্থ্য ও সক্ষমতার সেতু। এই সেতু এক দিকে যেমন সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক, অন্যদিকে আমাদেরকে যে অপমান করা হয়েছিল, সেই অপমানের প্রতিশোধ।
২৫ জুন উদ্বোধনের পর ২৬ জুন সকাল ছয়টা থেকে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানোর চিন্তা করছি। নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাদের সেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। আমন্ত্রণপত্র ছাপানো শেষ হয়েছে। বিদেশি যাদের আমন্ত্রণ করব, তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেব। তারা পরে তাদের মতো করে পাঠাবে। আর খালেদা জিয়াকে আমরা চিঠি দেব। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আমন্ত্রণ জানানো শুরু করব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, দলের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: