ফরিদপুরে দীর্ঘ ছয় বছর পরে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ ই এপ্রিল এবং আগামী ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
জেলা আঃলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শনিবার (১৬ই এপ্রিল) দুপুরে শহরের হোটেল রাফেলস ইন এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শহরের আনাচে কানাচে বিল বোর্ড, ব্যানার শোভা পাচ্ছে।
বর্ধিত সভায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সবুল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, প্রেসিডিয়াম কর্নেল ফারুক খান এমপি, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনি, আঃ লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি প্রমুখ।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ জেলার আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত সম্মেলনের সেই কমিটিতে ফরিদপুরের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার হোসেনের একক নির্দেশে কমিটিতে বিতর্কিত কিছু নেতারা স্থান পায়। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক , শুরু হাইব্রিড তোষণ রাজনীতি। এরপর তৃনমূলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় দলীয় কর্মকান্ড থেকে।
এদিকে বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত এই সম্মেলন নিয়ে গত দুই বছর ধরে গ্রুপিং, লবিং ও দৌড়-ঝাপ শুরু হয়েছে। বাকি ছিল তারিখ নির্ধারণ।
সভাপতির তালিকায় সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা বাবু বিপুল ঘোষ, বর্তমান সভাপতি এ্যাড. সবুল চন্দ্র সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শামীম হক, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রত্যাশী বর্তমান জেলার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা মহিলা সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত হোসেন প্রমুখ।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড সুবল চন্দ্র সাহা জানান, শনিবার দুপুর দুইটায় আমাদের বর্ধিত সভা শুরু হবে। তিনি বলেন এবারও আমি সভাপতি প্রার্থী নেত্রী যদি মনে করেন তাহলে আমি দায়িত্ব নিতে চাই পুনরায়।
ফরিদপুরে তিনটি ধারায় আঃলীগের রাজনীতি চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তৃণমূল নেতা কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় দুই নেতা এই বর্ধিত সভায় না থাকলে আমাদের জন্য ভাল হবে। তারা বিতর্কিত। ইতিপূর্বে ঐ দুই নেতা বিতর্কিত কয়েকটি কমিটি করে নেতা কর্মীদের আকাঙ্ক্ষা নষ্ট করেছেন ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: