ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর নির্বিচার গুলিতে স্থানীয় ১৪ জন নাগরিক ও এক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মারা গেছেন।
এদিকে সেনাবাহিনী তাদের পক্ষ থেকে এঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তারা দায় স্বীকার করে বলেন তাদের গুলিতে ভুলক্রমে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
দেশটির সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার খবরে ব্যথিত।
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও রয়টার্সকে বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। ঘটনাটির জন্য গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
আসাম রাইফেলসের সদস্যদের তেমন একটি অভিযানের সময় নাগাল্যান্ডের মন জেলায় মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম অটিংয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। রাজ্যটিতে মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ এই আসাম রাইফেলস।
দিনের কাজ শেষে একটি ট্রাকে করে বাড়িতে ফিরছিলেন ৩০ বা তারও বেশি খনিশ্রমিক। আসাম রাইফেলসের অস্থায়ী ঘাঁটি পার হওয়ার সময় নির্বিচার গুলি শুরু হয়।
কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ওই এলাকায় কিছু বিদ্রোহী আনাগোনা করছে বলে সেনাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। ট্রাকটি দেখে ভুলে ওই খনিশ্রমিকদের তাঁরা বিদ্রোহী মনে করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয় শ্রমিক প্রাণ হারান।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রামে গুলির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ অস্থায়ী ঘাঁটি ঘিরে ফেলেন। তাঁরা আসাম রাইফেলসের গাড়িতে আগুন দেন এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সেনাদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।
ওই কর্মকর্তা জানান, এ সময় আসাম রাইফেলসের সেনাসদস্যরা পাল্টা আক্রমণ চালান। তাঁদের দ্বিতীয়বারের হামলায় আরও আট গ্রামবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: