হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটি সমুদ্রে ডুবে গেছে ও সব ক্রু মারা গেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। শনিবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির নৌবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, সাবমেরিনটি টিকে থাকার আর কোনো সম্ভাবনাই রইলো না। বুধবার হারিয়ে যাওয়ার পর টানা তিন দিন খুঁজেও সাবমেরিনটি উদ্ধার করা যায়নি। খবর বিবিসির।
শনিবার সাবমেরিনটির কিছু ধ্বংসাবশেষ ও এক জায়নামাজ সমুদ্রে পাওয়া যায়। যেখান থেকে সাবমেরিনটি হারিয়ে গিয়েছিল সেখানেই এসব ভেসে উঠে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান শনিবার তার বিবৃতিতে এসব জানান। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীও সাবমেরিনটি আর টিকে নেই বলে তাদের ধারণা প্রকাশ করে।
নৌবাহিনী বলছে, একটি স্ক্যানের মাধ্যমে বুঝা গেছে সাবমেরিনটি ৮৫০ মিটার অর্থাৎ ২ হাজার ৮০০ ফুট গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। এত গভীর জলে সাবমেরিনটি অক্ষত টিকে থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই। কারণ এই সাবমেরিনটা সর্বোচ্চ ৫০০ মিটার পর্যন্ত ডুব দিতে সক্ষম। তাছাড়া সাবমেরিনটিতে মাত্র তিন দিনের অক্সিজেন মজুত ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাবমেরিনটির যান্ত্রিক অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু তেলের ট্যাঙ্কে কোনো ছিদ্র হয়ে যাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে বুধবার (২১ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের উত্তরে এক প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেওয়া সাবমেরিন জাহাজটি হারিয়ে যায়। জাহাজটির সন্ধান অভিযানে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর পাশাপাশি যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকার বিশেষ যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার। তৃতীয় দিনে এসেও সমুদ্রের গভীর জলে হারিয়ে যাওয়া জাহাজটির কোনো সন্ধানই পাওয়া যায়নি। সাবমেরিনটিতে ৫৩ জন ক্রু ছিলেন। হারিয়ে যাওয়া জাহাজের নাম কেআরআই নানগালা-৪০২ জাহাজ।
কিছু প্রতিবেদন বলছে, প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেওয়া সাবমেরিন জাহাজটিকে গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই জাহাজটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন দিন খুঁজাখুঁজির পর সাবমেরিনটি সমুদ্র তলদেশে ডুবে গেছে বলে ঘোষণা দিলো ইন্দোনেশিয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: