যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত বাংলাদেশে দেশটির পরবর্তী রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সমগ্র অঞ্চলকেই উপকৃত করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। দু’টি দেশের জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর করছে। করোনা মহামারি থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধারে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পিটার হাস বলেছেন, গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সমগ্র অঞ্চলকে উপকৃত করবে এবং রাষ্ট্রদূত পদটি নিশ্চিত হলে আমি এমন নীতিমালা নিয়ে এগিয়ে নেবো যা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে উন্নত করবে এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, পরস্পর সংযুক্ত, প্রতিরোধক্ষম ও নিরাপদ অঞ্চলে পরিণত করবে। দুই দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শান্তিরক্ষা, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, জনস্বাস্থ্য এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করেছে।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে পিটার হাস বলেন, তিনি ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ জোরদার করতে এবং মানবাধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে চান।
মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে। মানবিক সহায়তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তম আন্তর্জাতিক দাতা হিসেবে সমর্থন করেছে।
রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেলে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাজ অব্যাহত রাখবেন এবং (যে যেখানেই থাকুন না কেন) রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের সুরক্ষার পক্ষে সোচ্চার থাকবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু এবং স্বাস্থ্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান, যা এই বছর ইউএসবাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: