কাবুলে আটকা পড়া চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের (এইউডব্লিউ) ১৫০ জন আফগান নারী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পান। বাংলাদেশে আসতে না পেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
দেশটির ১০ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি এবং লেখাপড়া চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রাথমিকভাবে তিন মাসের বৃত্তি দিচ্ছে।
বর্তমানে তাদের রাখা হয়েছে ওয়েসকনসিনের ম্যাককয় সেনা ঘাঁটিতে। এদের মধ্যে ৮৫ জন এইইউডব্লিউ’র শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থী এবং ৪৭ জন স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী। বাকি ১৬ জন এইইউডব্লিউ’র প্রাক্তন ছাত্রী (এলামনাই) ও তাদের স্বজন।
যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছেন সেগুলো হলো- আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, কর্নেল ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওর, সাফোলক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা, চার্লট ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন নিউ হ্যামশায়ার ইউনিভার্সিটি, কর্নেল কলেজ ও কলাম্বিয়া কলেজ।
এইইউডব্লিউ গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে তাদের ওয়েবসাইটে তথ্য দিয়েছে। এইইউডব্লিউ’র প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি কামাল আহমেদ বলেন, সব শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি বৃত্তির আওতায় এনে শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এইইউডব্লিউ সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা দেশটি দখল করে নিলে এইইউডব্লিউ’র ১৬২ জন ছাত্রী আফগানিস্তানে আটকা পড়েন। তারা চট্টগ্রামে ফিরতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত ১৩২ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী, ১৬ জন এলামনাই এবং তাদের স্বজন গত ২৮ আগস্ট কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে করে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ফেরেন।
এইইউডব্লিউ’র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ১৪৮ আফগান ছাত্রী ও তাদের স্বজনকে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের ফোর্ট ম্যাককয় নামক সেনা ঘাঁটিতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ তাদের বায়োমেট্রিক, মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে আবার স্থায়ীভাবে বসবাসের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: