কাবুলের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সেই মন্ত্রণালয়ে প্রবেশে বাধা দেয় তালেবান। মন্ত্রণালয় ভবনে কেবল পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে তারা।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা স্পুতনিক কাবুলের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘চারজন নারীকে মন্ত্রণালয়ের ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি’। এরপর ওই নারীরা মন্ত্রণালয়ের কাছে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান।
২০ বছর পর তালেবানরা আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন যে, তালেবান শাসনের অধীনে আফগান নারীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আফগান নারীদের বর্তমান প্রজন্মের আগের প্রজন্ম অতি-রক্ষণশীল ইসলামী শাসনকে স্মরণ করছে এখন। ৯/১১-র সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের আগের তালেবান শাসনের সময় নারীদের নিয়মিত পাথর ছুঁড়ে মারা, অঙ্গবিচ্ছেদ এবং প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডও দেখেছিলেন তারা।
তালেবানের প্রথম শাসনের অধীনে, যারা ইসলামী আইনের কঠোর ব্যাখ্যা অনুসারে শাসন করেছিল, নারীরা মূলত তাদের ঘরেই সীমাবদ্ধ ছিল।
৪০ বছর ধরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ফের তালেবানদের দখলে আসে আন্তর্জাতিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর। আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে গত মে মাস থেকেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করার পর প্রথমবারের মতো চাপের মধ্যে, তালেবান জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল যে তারা ইসলামের সীমার মধ্যে নারীদের অধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, ‘তালেবান ইসলামের ভিত্তিতে নারীদের অধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য খাত এবং অন্যান্য খাতে যেখানে তাদের প্রয়োজন শুধু সেখানেই নারীরা কাজ করতে পারবে। নারীদের প্রতি কোনো বৈষম্য থাকবে না’।
কিন্তু এই মাসের শুরুতে সরকার গঠনের পর তালেবানরা নারীর অধিকারকে সম্মান করার আশ্বাস থেকে পিছিয়ে যায় এবং সহশিক্ষা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। তালেবানরা তাদের সরকারেও কোনো নারী মন্ত্রী রাখেনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: