নারীদের অধিকার প্রসঙ্গে তালেবানের মুখপাত্র সৈয়দ জাখরুল্লা হাসিমি বলেছেন, আফগানিস্তান মন্ত্রিসভায় ভবিষ্যতেও কোনো নারীর ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই; সন্তানের জন্ম দেয়াই নারীদের কাজ।
বৃহস্পিতবার (৯ সেপ্টেম্বর) হাসিমি আফগানিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
নারীদের মন্ত্রিত্ব করতে বাঁধা কোথায়- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তালেবান মুখপাত্রের মন্তব্য, আপনি কি নারীদের ঘাড়ে এমন দায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যার ভার তারা বইতে পারবে না? মন্ত্রিত্ব করা মহিলাদের কাজ নয়। তাই আমরা কোনো নারীকে মন্ত্রী করিনি।
দু’দশক পরে ক্ষমতায় ফিরে মন্ত্রিসভাও গড়ে ফেলেছে তালেবান। আফগানিস্তানের নতুন তালেবান মন্ত্রিসভায় একজন নারীও স্থান পাননি। অথচ আফগান সমাজের অর্ধেকই নারী। এ বিষয়ে হাসিমির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তার মন্তব্য, আমরা তাদের অর্ধেক মনে করি না। গত ২০ বছর আমেরিকার মদতে গড়া সরকার নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার নামে পতিতাবৃত্তি চালু করেছিল। আমরা তা হতে দেব না।
অথচ কাবুল দখলের পরেই সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তালেবান সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান এমানুল্লা সামাগনি বলেছিলেন, শরিয়তি আইনের পরিধির মধ্যে থেকে যদি নারীরা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চান তাদের স্বাগত। কিন্তু তারপরেও রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে নারীদের ওপর অত্যাচার এবং নানা বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। চাকরিও হারিয়েছেন বহু কর্মজীবী নারী।
অধিকারের দাবিতে সম্প্রতি আফগান নারীদের একাংশকে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে। দাবি উঠেছে মন্ত্রিসভায় তাদের শামিল করারও। এ প্রসঙ্গে হাসিমির মন্তব্য, যে নারীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তারা আফগান সমাজের প্রকৃত প্রতিনিধি নয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: