আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে বৃহস্পতিবারের (২৬ আগস্ট) হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এ হামলায় ১৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জোড়া বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের ধরার অঙ্গীকার করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে বৃহস্পতিবারের প্রাণঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর হামলাকে জাতিসংঘের মহাসচিব ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন।
ন্যাটো চিফ ও নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেনস স্টলটেনবার্গ এক টুইট বার্তায় জানান, আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসবাদের ঘোর বিরোধীতা করছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমরা আছি। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য যতো দ্রুত সম্ভব, সবাইকে সরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিকসম্প্রদায়ের উচিত তালেবানদের আফগানিস্তান দখলের পর শান্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন তিনি। তিনি দ্রুত আফগান আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কাবুলে হামলাকে ‘বর্বর’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হামলাটি ৩১ আগস্টের আগে যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের হাতে থাকা সময়ের মধ্যে, কার্যকরভাবে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া অব্যাহত রাখার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: