আফগানিস্তানে কর্মরত নারীদের তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকতে হবে। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। খবর বিবিসি।
তিনি আরও বলেন, “এটি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য একটি প্রক্রিয়া।”
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবানরা। তখন থেকে নারীদের পেশা ও অন্যান্য বিষয়ে স্বাধীনতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে নানা মহল।
জাতিসংঘ তালেবানদের দ্বারা নির্যাতনের ‘নির্ভরযোগ্য’ কিছু প্রতিবেদন তুলে ধরেছে যার মধ্যে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অন্যতম।
আফগান নারীদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, যে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ স্বল্পস্থায়ী হবে।
তিনি বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেরই প্রশিক্ষণ নেই যে কীভাবে নারীদের সঙ্গে আচরণ করতে হয় বা তাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়।”
“পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি।”
এ দিকে নারীদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেট মঙ্গলবার বলেন, তালেবানদের দ্বারা শিশু সৈনিক নিয়োগ এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়ার কথা জানতে পেরেছেন তিনি।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন মিশেল। পরে কাউন্সিল নারী ও মেয়েদের অধিকারের প্রতি তার ‘অটল অঙ্গীকার’ নিশ্চিত করে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে।
কিন্তু অনেক মানবাধিকার গোষ্ঠী আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিশেষ তদন্ত প্রতিনিধি পাঠানোর যে আহ্বান জানিয়েছিল তা শেষমেশ অনুমোদন পায়নি।
ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান বেশ সংযত আচরণ করছে এবং তারা নারী ও মেয়েদের অধিকার ও বাক-স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: