আফগানিস্তানে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণায় ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রত্যাহারের ডেডলাইন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তালেবান।
সরকার গঠনে তালেবানের সাথে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট এক আফগান কর্মকর্তা শুক্রবার বার্তা সংস্থা এপিকে এই তথ্য জানান।
সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমোদন না থাকা এই কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে বলেন, আলোচনায় তালেবানের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়া আনাস হাক্কানি সাবেক প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারীদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৈন্য প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত তালেবানের 'কোনো কিছু না করার' চুক্তি থাকায় তারা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
তবে এই সিদ্ধান্ত কি রাজনৈতিক ক্ষেত্র ছাড়া অন্যক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কি না, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার পিছু হটে। তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলে দেশটিতে।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
সূত্র : আলজাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: