বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির খোঁজে তার বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। লখনৌতে একটি স্পা খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে এক নারীর কাছ থেকে ১ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে শিল্পার বিরুদ্ধে।
‘ওয়েসিস স্লিমিং স্কিল সেলুন স্পা’ নামের একটি সেলুন খোলার কথা বলে কোটি রুপি নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয় শিল্পা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ কমিশনার সঞ্জীব সুমন জানান, ইতোমধ্যে শিল্পা ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বাইয়ে গেছে পুলিশ। তবে শিল্পাকে তার বাসায় খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে লখনৌ পুলিশ শিল্পাকে তিনদিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সঞ্জীব আরও জানান, এই মামলার পূর্ণ তদন্ত করা হবে।
পুলিশ আরও জানায়, এ হাইফপ্রোফাইল মামলার পূর্ণ তদন্ত করে শিল্পা ও তার মা সুনন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে রাজের জামিনের শুনানি আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে মুম্বাই সেশন কোর্ট। আপাতত আরও বেশ কয়েকটা দিন জেলেই থাকতে হবে রাজকে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আদালতে পেশ করা হয় রাজ কুন্দ্রাকে।
এদিন রাজ কুন্দ্রার জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে মুম্বাই পুলিশ। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে আশাঙ্কা প্রকাশ করা হয়, তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক, তাই জামিন পেলেই বিদেশে পালাতে পারেন রাজ।
পুলিশ আরও আশঙ্কা করছে, রাজ পালিয়ে গিয়ে আবার আগের মতোই কাজ শুরু করতে পারেন পর্নোগ্রাফি নিয়ে। শুধরে যাওয়ার পরিবর্তে রাজ কুন্দ্রা নিজের পর্নোগ্রাফির ব্যবসাকে আরও বেশি করে প্রসারিত করতে পারেন। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ওই ধরনের পর্নোগ্রাফির ভিডিও নিজের অ্যাপে শেয়ার করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন; যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দাবি, পর্নো বানানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রাজকে। তাই তাকে জামিনে ছাড়া হলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। অপরাধ দমন শাখার পক্ষ থেকে আদালতকে আরও জানানো হয়, রাজ মামলায় সহযোগিতা করছেন না। যেহেতু তাদের তদন্ত চলছে, তাই অনেক সাক্ষী এবং ভুক্তভোগী তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করতে এগিয়ে আসছেন। তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, উনি গ্রেপ্তারের আগে অনেক প্রমাণ নষ্ট করেছেন। বাকিটাও নষ্ট করতে পারেন এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, রাজের শ্যালক প্রদীপ বক্সীও এখন ওয়ানটেডের তালিকায়। রাজ জামিনে ছাড়া পেলে, তিনি প্রদীপ বক্সীকেও প্রভাবিত করতে পারেন।
এদিকে রাজ কুন্দ্রার আইনজীবী আদালতকে জানান, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ে গলদ আছে। রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে কোনো পাকাপোক্ত প্রমাণই নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে এই কেস নিয়ে জুলাই মাসে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে রাজের নাম ছিল না। পুরো বিষয়টিই অনুমানের ভিত্তিতে চলছে।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজের জামিনের শুনানির দিন ২০ আগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেন আদালত।
সূত্র: জিনিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: