মালির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আসিমি গোইতাকে হামলার চেষ্টাকারী গ্রেপ্তার ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার ঈদুল আজহার নামাজ চলাকালে আসিমি গোইতাকে লক্ষ্য করে ছুরি নিয়ে হামলার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। রাজধানী বামাকোর গ্র্যান্ড মসজিদে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়। হামলার পরপরই নিরাপত্তাকর্মীরা হামলাকারীকে আটক করেন।
নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে আটক ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি মালির সরকার। পুলিশি হেফাজতে হামলাকারীর মৃত্যুর বিষয়ে গতকাল রোববার এক বিবৃতি দিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তদন্ত চলাকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মারা যাওয়াটা দুঃখজনক। হামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত চালিয়ে যেতে হামলাকারীর মৃত্যু কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
দেশটির ধর্মমন্ত্রী মামাদাও কোনে বলেন, লোকটি ছুরি দিয়ে প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে আমরা ধরে ফেলতে সক্ষম হই।
মসজিদের পরিচালক লাতুস তাউরি বলেন, হামলাকারী প্রেসিডেন্টের দিকে ধাবিত হয়েছিল। কিন্তু এতে অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন।
জিহাদি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছে মালি। ২০১২ সালে প্রথম এই বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। পরে তা মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে ছড়িয়ে পড়ে।
এখন পর্যন্ত এতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। এতে দেশটির রাজধানীতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম রূপ নিয়েছে।নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম বৌবাকার কাইতাকে উৎখাত করতে গত আগস্টে একটি অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কর্নেল গোইতা।
গত মে মাসে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোখতার উয়ানেকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এরপর তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিলে মালির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক জান্তাপ্রধান কর্নেল আসিমি গোইতা নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: