করোনা মহামারি মোকাবিলায় গত তিন সপ্তাহ ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে কড়াকড়ি চলছিল। কিন্তু তাতেও করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে সিডনিতে লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিডনিতে নতুন করে ৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সরকারের প্রধান জানিয়েছেন, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়বে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রশাসন লকডাউন তুলে নিতে চায়। কিন্তু সেটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই করা যেতে পারে।’
গত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সবমিলিয়ে সিডনিতে ৯০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন দুই জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪২৯ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১২ জন।
এদিকে করোনার প্রকোপ বাড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রেও ধীর গতি রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে কড়াকড়ি চালু হবে। কোনো রেস্তোরাঁয় আটজনের বেশি মানুষকে থাকতে দেওয়া হবে না। বারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু হবে।
অন্যদিকে করোনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের অর্থমন্ত্রী নিশিমুরা। তিনি বলেছিলেন, যে সব রেস্তোরাঁ ও বারে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নিয়ম মানা হবে না, সেখানে ব্যাংকগুলো যেন চাপ সৃষ্টি করে। এই সব রেস্তোরাঁর সঙ্গে তারা যেন কোনো লেনদেন না করে।
বিতর্কিত এমন মন্তব্যের পর প্রবল সমালোনার মুখে তিনি বিবৃতি প্রত্যাহার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: