২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতে আবারও বেড়েছে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে তুলনামূলক মৃত্যু কিছুটা কমেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৯ জন। একই সময়ে মারা গেছে ১ হাজার ৩২১ জন।
বুধবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৯ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৩২১ জন। আগের দিন মঙ্গলবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৮৪৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৫৮ জন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৮২ লাখ ৭৭৮ জন। একদিন আগেই সংক্রমণ তিন কোটি ছাড়িয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়াল। এর আগে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে।
বুধবার মৃত্যুর নিরিখে দেশের শীর্ষ চারটি রাজ্য ছিল -মহারাষ্ট্র (৫০৮), তামিলনাড়ু (১৬৬), কেরল (১৫০) এবং কর্নাটক (১২৩)। বাকি রাজ্যে মৃত্যু ৫০-এর আশপাশে বা নীচে।
তবে টানা ৪২ দিন ধরে ভারতে করোনায় প্রতিদিন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের সংখ্যা বেশি থাকার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা বুধবারও অব্যাহত ছিল। এই দিন দেশটিতে করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৮ হাজার ৮৮৫।
দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণের শতকরা হার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালা রাজ্যে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৮২ হাজার ৭৭৮ জন এবং মারা গেছেন মোট ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯৮১ জন। এছাড়া মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জন।
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে টিকা দেওয়া হয়েছে ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৯ জনকে। গত প্রায় ছয় মাস ধরে চলমান এই কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ভারতে টিকার আওতায় আনা গেছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ২৬ হাজার ২৮ জনকে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: