মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি, পুনাওয়ালাদের সম্পদের পরিমাণ অতিমারীর সময়ে অনেকটা বাড়লেও সামগ্রিক ভাবে ভারতের ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ ৪.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
যেহেতু ভারতীয় রুপির দর পড়ে গেছে, সেই কারণেই এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এক রিপোর্টের দাবি তেমনটাই।
২০২০ সালের মার্চে দেশব্যাপী লকডাউন ও অতিমারীর ধাক্কায় দেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছিল। বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছিলেন। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু সংস্থা। কিন্তু দেশের ধনকুবেরদের ক্ষেত্রে ছবিটা অন্য ছিল।
রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানি তো বটেই, রাতারাতি দেশের ধনকুবেরদের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন আদানি গ্রুপের গৌতম আদানি। অতিমারীর ধাক্কা সামলে তাঁদের সম্পত্তিও বাড়ে। কিন্তু টাকার দর পড়ে যাওয়ায় সামগ্রিক ছবিটা ক্ষতির কথাই ফুটিয়ে তুলছে। ‘ক্রেডিট সুসে রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর এক রিপোর্টের দাবি তেমনটাই।
মুকেশ আম্বানি ২০২০ সালে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কোটি টাকা রোজগার করেছেন। মোট উপার্জন ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। একই ভাবে গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণও ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে একলাফে ৬৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যায়।
বাকিদের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান রীতিমতো চমকপ্রদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২০ সালের হিসেবে দেশের ধনকুবেরদের সামগ্রিক সম্পদের পরিমাণ ১২.৮৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৪.৪ শতাংশ বা ৫৯৪ মার্কিন ডলার কম।
তবে এই পরিসংখ্যান যতই হতাশাব্যাঞ্জক হোক, আগামিদিনে এই ধাক্কা সামলে উঠে দেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ যে সামগ্রিক ভাবেই অনেকটা বাড়বে তারই হদিশ মিলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ ৮১.৮ শতাংশ বাড়তে চলেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: