মস্কোর বৈঠকে সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ এবং মিয়ানমারের জান্তা নেতা দুই দেশের মধ্যে সুরক্ষা ও অন্যান্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
ভয়েস অব আমেরিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং তিন দিনের নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে রবিবার রুশ রাজধানীতে যান।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ সোমবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন না।
এ দিকে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, মস্কো দ্বিপক্ষীয় সফর এবং অস্ত্রের চুক্তি অব্যাহত রেখে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে বৈধতা দিচ্ছে।
রাশিয়া বলছে, মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এও জানায়, মার্চে মিয়ানমারে বেসামরিক লোকের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করেছিল।
গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ওই প্রস্তাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান, অং সান সু চিস-হ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
প্রস্তাবটি ১১৯টি দেশ সমর্থন করেছিল, শুধু বেলারুশই এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
এ ছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়া ও চীনসহ ৩৬টি দেশ ভোট থেকে বিরত ছিল। অন্য দেশগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, লাওস ও থাইল্যান্ড।
গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত অং সান সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সেনা বাহিনী। সু চি-সহ অসংখ্য রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করে নানান অভিযোগ আনা হয়। এরপর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৮৬০ জন নিহত হয়েছে। আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েক হাজার। সেই বিক্ষোভ এখনো চলমান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: