পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের ভোটে সকলের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বনাম শুভেন্দু অধিকারীর মহারণের ওপর। আর সেই নন্দীগ্রামে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। সেখানে সকাল থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল। দুপুরে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি হামলার শিকার হয়। এবিপি আনন্দের গাড়ির সব কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। চালকও আহত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের কেশপুরেই তৃণমূল অফিস থেকে এক কর্মীকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ উঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামে এক বিজেপিকর্মীর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আবার চণ্ডীপুরে তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। গাড়ির সামনের ও পাশের কাচ ভেঙে গেছে। এখানে বিজেপিকর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ।
দ্বিতীয় পর্বের ভোটে প্রধান নজর ছিল নন্দীগ্রামের ওপর। সেখানে দুটি গ্রামে সারারাত ধরে বোমাবাজি হয়েছে। কয়েকটি গ্রামে ভোট শুরু হওয়ার পরেও বোমাবাজি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূলকর্মীরা। তার গাড়িতেও ইট মারা হয়। তবে শুভেন্দু বলেছেন, বিক্ষোভ তার গা সওয়া হয়ে গেছে।
মমতা ব্যানার্জি এমনিতে ভোটের দিন সচরাচর বাড়ি থেকে বের হন না। নন্দীগ্রামেও দুপুর পর্যন্ত তিনি বের হননি। কিন্তু দুপুরের পর তিনি বুথে বুথে ঘুরতে শুরু করেন। রীতি মেনে বাড়ি বসে থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। রেয়াপাড়ার একটি বুথে তৃণমূলের এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মমতা সেখানে যান। তাঁকে ধরে গ্রামবাসীরা বলেন, তাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। অবাধে বিজেপি ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। সিআরপিএফকে জানিয়েও ফল হয়নি। সেই বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুলিশ তৃণমূলের এজেন্টের বাড়িতে আনতে গেলে তার মা জানিয়ে দেন, তিনি ভয় পেয়েছেন। ছেলেকে পাঠাবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী ওই বুথে যান। বাইরে তখন তৃণমূল ও বিজেপিকর্মীদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ বাইরে আসতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী সোজা রাজ্যপালকে ফোন করেন। তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, কিভাবে বাইরের মানুষকে এনে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রচুর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও ঝামেলা চলতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আদালতে নালিশ করবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: