বছরের শেষ দিনে রোববারও গাজায় ফিলিস্তিনি লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তা থামানোর কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন এই যুদ্ধ চলবে ‘বহু মাস ধরে’। খবর এএফপির।
গাজার একটি ভবনে বোমাবর্ষণের পর একজন অধিবাসী বলছিলেন, ‘বিস্ফোরণের পর আমরা হামলার স্থানে এসে আশপাশে শহীদদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। বাচ্চাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তারা এখনও নিখোঁজ।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আরেক হামলায় গাজার পশ্চিমে আল আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ২০ জন লোক মারা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থলযুদ্ধসহ আকাশ পথে হামলায় বেশকিছু ‘শত্রু’কে হত্যা করেছে। হামাসের ব্যবহার করা একটি সুড়ঙ্গ চিহ্নিত করার দাবিও জানায় তারা।
ভয়াবহ এই যুদ্ধে গাজার ২৪ লাখ অধিবাসীর ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, শীতকালের প্রচণ্ড ঠান্ডায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে অস্থায়ী তাঁবুতে বসবাস করছে এসব লোক।
কয়েক যুগ ধরে চলতে থাকা সংঘাত চরম আকার ধারণ করে গত ৭ অক্টোবর। এদিন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ১৪০ জনকে হত্যা করে, যাদের বেশিরভাগই ছিল সাধারণ জনগণ। এই হামলায় হামাস ইসরায়েল থেকে ২৫০ জনকে অপহরণ করেও নিয়ে যায়। আর এরপর থেকেই গাজার শুরু হয় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও হামলা।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। অন্যদেকে ইসলায়েল জানিয়েছে, গাজার অভ্যন্তরে যুদ্ধে তাদের ১৭২ জন সৈন্য মারা গেছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজার অধিবাসীদের ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ প্রদানের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: