২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সংকটের সূচনা। সমাধান আজও হয়নি। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১২ বছর। দেশটিতে চলা গৃহযুদ্ধে ২০২৩ সালে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজার ৩৬০ জনের বেশি মানুষ, যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধা। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
এর আগে, ২০২২ সালে গৃহযুদ্ধে মারা গিয়েছিল তিন হাজার ৮২৫ জন। হিসাব অনুযায়ী, আগের বছরের চেয়ে চলতি বছরে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। তবে, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভে সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে ২০১১ সালে সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে ২০২৩ সালেই ছিল সর্বনিম্ন বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরে গৃহযুদ্ধে দেশটিতে এক হাজার ৮৮৯ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে ২৪১ জন নারী ও ৩০৭ জন শিশু। আর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর অন্তত ৯০০ সদস্য নিহত হয়েছে।
এএফপি বলছে, বছরের পর বছর ধরে সিরিয়ার সংঘাত নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। এই সংঘাতের জেরে সেখানে এসেছে বিদেশি সেনাবাহিনী, জঙ্গি ও জিহাদিরা। ২০১১ সালে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ। দেশটির অবকাঠামো ও শিল্পকে ধ্বংস করেছে এই সংঘাত।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ইরান ও রাশিয়া সমর্থন করে আসছে। এই সমর্থনের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারানো কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সরকারি বাহিনী। তবে, এখনও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ অংশ বিরোধীদের দখলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: