ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়া ড্রোন হামলা করেছে। এতে আহত হয়েছে দুইজন। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য একজনকে ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো এ তথ্য জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো দিয়ে প্রায়শই কিয়েভকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। তবে সাধারণত এগুলো গুলি করে ধ্বংস করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। সেখানকার বাসিন্দারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক টেলিগ্রামে লিখেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় প্রায়শই ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার হয়। কিয়েভে রাশিয়ান ড্রোন হামলার পর জরুরি উদ্ধারকারী একটি দল বহুতল আবাসিক ভবনে পৌঁছে।
মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কিয়েভের দক্ষিণে সোলোমিয়ানস্কি এলাকায় আবাসিক কয়েকটি ভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ভবনের উপরের তলাগুলোতে আগুন ধরে যায়। আহত দুজনের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে সহায়তা বন্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা তহবিলের ওপর আনা বিলের অর্থ ডিসেম্বরের পর শেষ হয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি।
অর্থ সহায়তা ও গোলাবারুদের অভাবে সামরিক অপারেশন কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেকসান্দ্র তারনাভস্কি জানান, সামরিক বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে এবং শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান না হলে কিয়েভের সামনে ‘বিরাট বিপদ’ আসবে।
গত দু’বছরের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য অর্জন করতে না পারায় ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ও এর জেরে সহায়তার প্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: