রায়ানএয়ারের গ্রিস থেকে লিথুনিয়াগামী একটি ফ্লাইটকে গতিপথ পরিবর্তন করে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে নামিয়ে এক সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার হওয়া রোমান প্রোটাসেভিস বেলারুশের বিরোধী দলের চ্যানেল নেক্সটার সাবেক সম্পাদক। প্রোটাসেভিস একজন সরকার বিরোধী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত।
তবে এই ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য কার্যকলাপ’ বর্ণনা করে ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক রোমান প্রোটাসেভিসের মুক্তির দাবি করেছেন লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নওসেদা। কিন্তু বেলারুশের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম বলছে, বোমা বিস্ফোরণের সম্ভাবনার কারণে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
এদিকে রায়ানএয়ার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেলারুশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বোর্ড থেকে ফ্লাইটটির ক্রুদের একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে অবহিত করে মিনস্কের নিকটতম বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।’
গত বছর বেলারুশের বিতর্কিত ও কারচুপির নির্বাচনে জয় নিয়ে আবারও দেশটির ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধীনেতা ভেতলানা তিখানোভস্কাও সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রোটাসেভিসের মুক্তি দাবি করেছেন।
১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন লুকাশেঙ্কো। গত বছরের আগস্টের নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি পুনরায় ক্ষমতা দখলে রাখেন। আর নির্বাচনের পর থেকে বিরোধীদলীয়দের দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার করা হয়েছে নয়তো ভেতলানা তিখানোভস্কার মতো নির্বাসিত করা হয়েছে।
এভাবে সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডগারস রিনকেভিকস। তিনি বলেন, বেলারুশ যা করেছে তার আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এর কঠোর ও কার্যকর দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
জার্মানি বেলারুশের কাছ থেকে দ্রুত এর ব্যাখা চেয়েছে। ব্রিটেনে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম তুজেনহাট বলেছেন ‘বিরোধী কণ্ঠকে চুপ করে রাখতে মাঝ আকাশ থেকে একটি বিমানকে নামতে বাধ্য করা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: