গাজায় ইসরায়েলি হামলা ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিকরা। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে মসজিদ। গাজার অর্ধেক মানুষ খাবার পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ইসরায়েলের অভিযানের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসর ও মৌরিতানিয়ার অনুরোধে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধ ও আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় সাধারণ পরিষদে এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টের কাছে লেখা ওই চিঠিতে ‘শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ’ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেনিশ ফ্রান্সিস জানান, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় এই অধিবেশন বসবে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সব সদস্যদেশকে চিঠি দিয়েছেন ডেনিশ ফ্রান্সিস। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, মিসর ও মৌরিতানিয়ার অনুরোধে বিশেষ এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে। মিসর আরব দেশগুলোর জোট আরব গ্রুপের সভাপতি, আর মৌরিতানিয়া মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির সভাপতি।
চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে নজর দিয়ে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের উপর সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও পুরুষকে হত্যা ও আহত করেছে। এছাড়াও চিঠিতে জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত ও মানবিক সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের বাধা এবং পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধির দিকে ধাবিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
এর আগে শুক্রবার গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তুলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এতে পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩টিই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভেটো দেয় পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। আর এতেই ভেস্তে যায় গাজায় সংঘাত বন্ধের সম্ভাবনা।
নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই ব্যর্থতার জন্য পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তির নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। গুতেরেস বলেছেন, সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে নিরাপত্তা পরিষদ কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: