বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার ৮৫ কোটি টাকা) ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বৃহস্পতিবার এ ঋণ অনুমোদন দেয় বলে শুক্রবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের যুবক, মহিলা, সুবিধাবঞ্চতি গ্রুপ এবং প্রত্যাবাসিত অভিবাসী কর্মীদের র্কমসংস্থান ও জীবিকার সুযোগ উন্নত করতে এবং সিওভিডির মতো ভবিষ্যতে কোনো ধাক্কার বিরুদ্ধে তাদের সহায়তার লক্ষ্যে দেড় মিলিয়নের বেশি দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বাংলাদশকে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে কোভিড ১৯ মহামারিতে হাজার হাজার মানুষের জীবনযাত্রাকে বিশেষত মহিলা শ্রমিক, যুবক এবং প্রত্যাবাসিত অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে বলা হয়, এই দুটি প্রকল্প গ্রামীণ দরিদ্র জনগণকে ক্ষমতায়ন ও সংহত করে ভবিষ্যতের চাকরির বাজারের জন্য তাদের প্রস্তুত করবে। এ ছাড়া বিশেষত নারী ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলার জন্য উদ্যোক্তা সুযোগগুলোকে সহায়তা করবে।
অর্থনৈতিক রূপান্তর (এএসএসইটি) প্রকল্পরে জন্য ৩০ কোটি ডলার এবং বাকি ৩০ কোটি ডলার রেসিলিয়েন্স, এন্টারপ্রেনারশিপ এবং লাইভলিভ ইমপ্রুভমেন্ট (আরএলআই) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০টি জেলার ৩ হাজার ২০০ গ্রাম জুড়ে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার দরিদ্র ও দুর্বল গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকা উন্নয়নে সহায়তা করবে। উভয় প্রকল্পের মেয়াদকাল ৫ বছরসহ গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বে থাকা বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেন বলেন, করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ, বিশেষত তরুণ, নারী শ্রমিক ও বিদেশফেরতদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: