উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন বিজ্ঞানী ও তার পরিবারের সাথে মহাকাশ শক্তির এক নতুন যুগ উদযাপন করেছেন। উত্তর কোরিয়া সফলভাবে একটি সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করার পরে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া শুক্রবার একথা জানায়।
মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং-এর ‘মালিগিয়ং-১’ উৎক্ষেপণ ছিল মে ও আগস্টে ব্যর্থতার পর আকাশে সামরিক নজর সুরক্ষিত করার তৃতীয় প্রচেষ্টা। খবর এএফপি’র।
উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তাদের নেতা ইতোমধ্যেই গুয়ামে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির ছবি পর্যালোচনা করছেন।
পিয়ংইয়ং-এর সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, জাতীয় মহাকাশ সংস্থার পরিদর্শনের সময় কিম বলেন উৎক্ষেপণটি ছিল ‘আত্মরক্ষার অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন।’
গুপ্তচর উপগ্রহটি উত্তরকে ‘শত্রু শক্তির বিপজ্জনক এবং আক্রমনাত্মক পদক্ষেপ’থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এটি দেশে ‘একটি মহাকাশ শক্তির নতুন যুগ’ আসার পথ প্রদর্শন করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া নিশ্চিত করেছে, উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে, তবে বলেছে উত্তরের দাবি অনুযায়ী স্যাটেলাইটটি কাজ করছে কি-না তা খুব তাড়াতাড়ি নিরুপণ করা যাবে না।
পিয়ংইয়ং প্রকাশিত ভিডিও চিত্রগুলোতে কিমকে তার অল্পবয়সী মেয়ে জু এ-এর সাথে ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস টেকনোলজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানী ও মহাকাশ প্রোগ্রাম কর্মীদের প্রসংশা করতে দেখা গেছে।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কিমের টি-শার্ট পরিহিত কর্মী, শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা এবং তার মেয়ে ও স্ত্রী রি সল জু-এর সাথে সংবর্ধনা উপভোগ করার ছবি প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার উৎক্ষেপণের পর, দক্ষিণ কোরিয়া উত্তরের সাথে পাঁচ বছরের পুরনো সামরিক চুক্তি আংশিকভাবে স্থগিত করেছে এবং সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে। পিয়ংইয়ং সিউলের পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া’ হিসেবে অভিহিত করে চুক্তিটি সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করবে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন একটি গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করলে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা উন্নত হবে এবং যেকোনো সামরিক সংঘর্ষে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে। বিশেষকরে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর এটি বিশেষভাবে কার্যকর হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: