খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৬ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৪৬

সংগৃহীত ছবি

নেপালের পশ্চিম দিকের একটি পাহাড়ি অঞ্চলে শুক্রবার ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৫৭ জন নিহত হয়। আহত হয় ৩০০ এর বেশি। ঘরছাড়া হয় কয়েক হাজার মানুষ।

ঘরছাড়া মানুষের জন্য এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া আফটারশক হতে থাকায় অনেকে বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে হাজারো আতঙ্কিত মানুষ।

হিমালয় কন্যা নেপালে ইতোমধ্যে শীত ঝেঁকে বসেছে। সঙ্গে আছে ঝোড়ো হাওয়া। এ অবস্থায় শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ অনেক মানুষকে খোলা আকাশের নিচে বা তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুম জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় এখন গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের জন্য জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে উদ্ধারকারী দলগুলো বিবিসিকে বলেছে, গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত তাঁবু নেই।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ও বোন হারানো এক ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, আমরা এখন এক বিপন্ন অবস্থায় বেঁচে আছি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কোনো খাবার নেই, আশ্রয় নেই। আমার বোন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই নেপাল ভূমিকম্পের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। নেপালের অবস্থান দুটি বৃহদাকার টেকটোনিক প্লেটের সীমানায়। প্লেট দুটির নাম ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান এবং এশিয়ান প্লেট। এ দুটি প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে হিমালয় পর্বতমালা।

নেপাল যে দুটি প্লেটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সে দুটি প্লেট প্রতিবছর ৫ সেন্টিমিটার হারে একে অপরের দিকে ধাক্কা দিচ্ছে। এটি খুব বড় ধরনের ধাক্কা না হলেও ধীরে ধীরে শক্তি জমা হয় এবং এক সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ তৈরি করে। তখন তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর