চীন সীমান্তে থাকা অনেকগুলো ফাঁড়ি বা সেনাঘাঁটির দখল হারিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। বিদ্রোহীদের কাছে হারানো এসব ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। পাশাপাশি সেখানে সৈন্যশক্তি বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বরাতে শনিবার (২১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটি বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। দেশটির সামরিক বাহিনী ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। জান্তা সরকারের ক্ষমতার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও দেশটির বিশাল এলাকার কর্তৃত্ব নিতে পারেনি। এমনকি, সেখানে বিরোধীদের দমনে বিমান ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের শান রাজ্যের মুসে জেলায় সামরিক বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ)। আর শুক্রবার কাচিন রাজ্যের প্রত্যন্ত শহর লাইজারের কাছেও সামরিক বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালায় তারা। গতকালের হামলায় পিছু হটতে বাধ্য হয় জান্তা বাহিনী। এরপরেই এক বিবৃতিতে জান্তা সরকার বিমান হামলার পাশাপাশি আর্টিলারি ও সৈন্য শক্তিবৃদ্ধির নির্দেশ দেয়।
আজ বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেআইএ থেকে বলা হয়, জান্তা বাহিনী বিমান হামলা ও কামান দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছে। গত সপ্তাহের সংঘর্ষে তাদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো তথ্য এখনও জানায়নি দেশটির সেনাবাহিনী।
কেআইএয়ের কর্নেল নাও বু এএফপিকে বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর অনেক অস্ত্র জব্দ করতে পেরেছি। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু সরঞ্জামও জব্দ করেছি।’
এএফপি জানিয়েছে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত কাচিন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে কেআইএ। সবশেষ কয়েক দশক ধরেই রাজ্যটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আর ২০২১ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই এই রাজ্যে সহিংসতা বেড়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: