দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ এই ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সহায়তায় একটি স্কিম তৈরি করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হামজা ইউসুফ বলেছেন, স্কটল্যান্ড গাজার শরণার্থীদের জন্য নিজের ‘হৃদয় ও ঘরবাড়ি’ খুলে দিতে প্রস্তুত, যেমনটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য করা হয়েছিল।
গাজায় আটকে পড়া পরিবারের সদস্য হামজা ইউসুফ স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। গাজায় বেসামরিক মানুষের জীবনের ঝুঁকি তুলে ধরে তিনি জানান, তার শ্যালক গাজার একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। পরিস্থিতি এমন যে, কে চিকিৎসা করবে আর কে মারা যাবে- তার মধ্যে যেকোনো একটি চিকিৎসাকর্মীদেরকে বেছে নিতে হচ্ছে।
ফার্স্ট মিনিস্টার তার বক্তব্যে বলেন, “গাজা অবিরাম বোমা হামলার মধ্যে রয়েছে। মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন অসংখ্য পুরুষ, নারী ও শিশু। গাজাবাসীদের কাছে আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া জরুরি। ফিলিস্তিনিদের ‘সম্মিলিত শাস্তি’ কখনোই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।”
ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে হামাস যা করেছে, তা ‘সত্যিই হৃদয়বিদারক’ উল্লেখ করে জোরালোভাবে এর নিন্দা জানান তিনি।
গাজায় দিনের পর দিন বেসামরিক মানুষজনের হতাহতের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইউসুফ বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, একজন ফিলিস্তিনির জীবন একজন ইসরায়েলি জীবনের সমান।”
তিনি যুক্তরাজ্য সরকারকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন স্কিম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গাজা উপত্যকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাই আমি যুক্তরাজ্য সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজার জনগণের জন্য বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু কর্মসূচিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ইউসুফ তার বক্তব্যে আর বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, স্কটল্যান্ড ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে ইচ্ছুক। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্কটল্যান্ড ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের হাসপাতালগুলো গাজার আহত শিশু-নারী-পুরুষদের চিকিৎসা দেবে।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: