জম্মু-কাশ্মীরে অজ্ঞাত গেরিলারা আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ ক্যাম্প টার্গেট করে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মে) রাতে শ্রীনগরের ডাউন টাউন এলাকায় সরাফ কদল এলাকায় সিআরপিএফ ক্যাম্প লক্ষ্য করে অজ্ঞাত গেরিলারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।আক্রমণে অবশ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সমস্ত জওয়ানরা নিরাপদে রয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, ওই হামলার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় একজন মুখোশধারী ব্যক্তি একে একে দু’টি পেট্রোল বোমা সিআরপিএফ জওয়ানদের ক্যাম্পের দিকে নিক্ষেপ করছে। হামলাকারীদের সন্ধানে রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে।সরাফ কদলে সিআরপিএফের ২৩ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন রয়েছে। হামলাকারীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে এবং শিগগিরি হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ওই আক্রমণের ঘটনায় আবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ওই হামলা হয়। অজ্ঞাত হামলাকারীরা সরাফ কদল এলাকায় অবস্থিত সিআরপিএফের ২৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ক্যাম্পের কাছাকাছি এসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। নিরাপত্তাকর্মীরা হামলাকারীদের ধরার আগেই তারা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। পেট্রল বোমা নিরাপত্তা চৌকিতে না গিয়ে এর থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।
গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, ওই ঘটনার পরপরই আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের টিম সেখানে পৌঁছে হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কিন্তু এতে কিছুই পাওয়া যায়নি। আজ সকালে ফের নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে। হামলাকারীদের সন্ধানে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, পুলিশ বলছে যে তারা তাদের তথ্য ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। যারা ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিল শিগগিরি তাদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
এরআগে, বুধবার শ্রীনগরের নাভা বাজারে একইভাবে সিআরপিএফের উপরে হওয়া গ্রেনেড হামলায় ৭ জওয়ান, ২ পুলিশ সদস্য ও ১ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: