তুরস্কে রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের ২০ বছরের ক্ষমতার দৌড় আরো দীর্ঘায়িত হবে কি না, তা নির্ধারিত হবে আজ দ্বিতীয় দফা ভোটে। একই সঙ্গে তুরস্কের টানা দুই মেয়াদে শাসক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানেরও রাজনৈতিক জীবনের ‘শেষ পরীক্ষা’ এটি- বলছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। নির্বাচনে জিতলে তুর্কি ইতিহাসে টানা তিন দশক ধরে দেশ পরিচালনার নতুন ইনিংস শুরু হবে এরদোগানের।
বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের জোটের সমর্থনপুষ্ট এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারুলু এই ভোটকে তুরস্কের ভবিষ্যতের নির্ধারক ভোট বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে এখনো পর্যন্ত এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানই এগিয়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সাথে তার সমর্থকদের এবং দেশবাসীকে ‘নতুন যুগ’এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বতর্মান প্রেসিডেন্ট। এ দফায়ও নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় মূল্যস্ফীতি ও জীবন যাপনের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি।
শনিবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ ঘণ্টাগুলো উত্তাল ছিল দেশটির ভোটের মাঠ। একদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রচার শিবির। অন্যদিকে বিরোধী জোটের নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু। জয়ের প্রশ্নে মরিয়া দুই প্রার্থীই। ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম দফায় এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯% ভোট। কিলিচদারোগ্লু পেয়েছিলেন ৪৪.৮৯ %। দুজনের কেউই ৫০% ভোট না পাওয়ায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় (২৮ মে)। খবর বিবিসির।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট এগিয়ে থাকলেও তাদের মধ্যে ব্যবধান এখনো পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। এর জন্য বিরোধী নেতার প্রথম দফায় তৃতীয় স্থানে থাকা অতি-জাতীয়তাবাদী প্রার্থীর সিনান ওগানের সমর্থন লাগবে। অন্যথায় প্রথম দফায় অংশ না নেওয়া প্রায় ৮০ লাখ ভোটারের সমর্থন পেতে হবে। এখানেও এগিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘কিংমেকার’ সিনান ওগানের সমর্থন শেষ পর্যন্ত তার ঝুলিতেই পড়েছে। প্রথম দফার দৌড়ে সিনানের ভাগ্যে জুটেছে ৫.১৭% ভোট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: