ইসরাইলকে ‘শিক্ষা’ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নিতে হবে বলে রাশিয়াকে তাগিদ দিয়েছে তুরস্ক। বুধবার (১২ মে) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপে এমন তাগিদ দেন। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর।
তুরস্কের কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের এক বিবৃতিতে দুই নেতার ফোনালাপের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পুতিনকে এরদোগান বলেছেন, ইসরাইলকে একটি ‘শক্তিশালী ও প্রতিরোধমূলক শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার ফোনালাপে ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি হামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়। এছাড়া তুরস্কে করোনাভাইরাসের রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্টকে এরদোগান আরও বলেছেন, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল যাতে ইসরাইলকে দ্রুত একটি ‘নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করে’ সে জন্য চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন। এরদোগান পুতিনকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা উচিত।
এরদোগান ফোনালাপে রুশ প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, তুরস্ক ও রাশিয়া জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসময় তুরস্ককে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।
গত শুক্রবার আল-আকসা মসজিদে নামাজরত ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি পুলিশ। এ সময় রাবার বুলেট, স্টান গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। এর পর থেকে সোমবার পর্যন্ত আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লি ও ইসরাইলি পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এতে কয়েকশো ফিলিস্তিনি আহত হয়।
সোমবার ফিলিস্তিনের হামাস ইসরাইলে রকেট হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে গাজায় এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। অপরপক্ষে হামাসের সিরিজ রকেট হামলায় ইসরাইলে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
এদিকে জেরুজালেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক করেছে। এ সময় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনির মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
উল্লেখ্য, জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ মুসলিম ও ইহুদিদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। গত সপ্তাহ ধরে আল আকসা মসজিদ সংলগ্ন শেখ জারা এলাকায় ইসরাইলি পুলিশের উচ্ছেদ অভিযানের আশঙ্কায় ওই এলাকায় টানা অবস্থান করে আসছিল ফিলিস্তিনিরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: