আইএমএফ এর ঋণ পাওয়ার জন্য সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছে অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা। প্রায় এক বছর ধরে আলোচনার পর দেশটিতে ২৯০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার সম্মতি দিয়েছে আইএমএফ।
আইএমএফের বোর্ড জানিয়েছে, তারা এই ঋণ অনুমোদন করেছেন। যাতে করে আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা একটু আশার আলো দেখতে পায়। আবার তাদের ঋণের বোঝাও বাড়লো।
আইএমএফ জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে শ্রীলঙ্কাকে ৩৩ কোটি ডলার দেবে। এই অর্থ দিয়ে প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কা তাদের সংকট সামলাতে পারবে।
সেই সঙ্গে আইএমএফের ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর তিনটি বিষয়ে শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শ্রীলঙ্কাকে কর ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে, গরিবদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে, দুর্নীতিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে লিখেছে, স্বাধীনতার পর সবচেয়ে খারাপ সময়টা পার করতে থাকা শ্রীলঙ্কা এমনিতেই বিপুল ঋণের ভারে জর্জরিত। কিন্তু বিদেশি মুদ্রার সঙ্কটে করুণ দশার মধ্যে আইএমএফ এর ওই ঋণ দেশটির 'টিকে থাকার সহায়' হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি বিবিসিকে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন এবং বিমান পরিবহন সংস্থার বেসরকারিকরণের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
তবে আইএমএফের দেওয়া তিনটি কাজই শ্রীলঙ্কার পক্ষে বেশ কঠিন। কিন্তু আইএমএফ মনে করছে, তাদের বাঁচার জন্য এবং এই সংকট কাটানোর জন্য এই রাস্তা নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘে জানিয়েছেন, কর সংস্কার ও আর্থিক ম্যানেজমেন্টের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতির বদল ঘটাবে। আইএমএফের কাছে শ্রীলঙ্কা কৃতজ্ঞ থাকবে। কারণ, তারা ঋণ দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে সংকট কাটাতে সাহায্য করলো।
২০২২ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক ঋণ শোধ করতে পারেনি এবং গভীর আর্থিক সংকটে পড়েছিল। তারপর শাসকদের বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যার জেরে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। রাজাপাকসে পরিবার ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: