রাশিয়ার আক্রমণের পূর্বে মারিউপোল শহরে ৪ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করতো। কিন্তু রুশ বাহিনীর আক্রমণে শহরটির হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হাজারো মানুষ আটকা পড়েছে। খবর গার্ডিয়ানের।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেকজান্ডার মতুজিয়াঙ্ক এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, শহরটি রুশ বাহিনী এখনো সম্পূর্ণ দখলে নিতে পারেনি।
তবে মারিউপোলের অবস্থা জটিল এবং কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো সেখানে যুদ্ধ চলছে। শহর ধ্বংস করতে রাশিয়া অতিরিক্ত সেনা নিযুক্ত করছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মারিউপোল দখল করলে এটা হবে রাশিয়ার বড় কোনো শহর দখল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা মারিউপোলের ইলিচ ইস্পাত কারখানা দখলে নিয়েছেন। তবে রাশিয়ার এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। শহরে ইউক্রেনের সেনারা আজভস্তল কারখানা দখলে রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের ধণাঢ্য ব্যবসায়ী মেটিনভেস্ট গ্রুপ উভয় ইস্পাত কারখানার মালিক। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত মেটিনভেস্ট গ্রুপ বলেছে, রাশিয়ার অধীনে কখনো তারা কারখানা চালু রাখবেন না।
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিউপোলে রাশিয়া সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে। টানা ৫০ দিন ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবর্ষণসহ যা করা সম্ভব তার সবই করেছে রুশ বাহিনী।
যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল স্যার রিচার্ড ব্যারনস বিবিসি ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, রাশিয়া যদি মারিউপোলের দখল নিতে পারে, তাহলে রাশিয়া থেকে লুহানস্ক ও দোনেতস্ক হয়ে ক্রিমিয়ায় সরাসরি যোগাযোগের পথ স্থাপন করতে পারবে। বিষয়টি রাশিয়ার জন্য অনেক বড় একটি বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাশিয়া যদি ক্রিমিয়ায় সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে তাহলে আজভ সাগরের নিয়ন্ত্রণও রাশিয়ার অধীনে চলে আসবে। আজভ সাগরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ইউক্রেনকে সমূদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারবে রাশিয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: