লালদিঘী ময়দানে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

অর্ণব দাশ, চট্টগ্রাম | ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১২

ছবি : আদিত্য বর্ধন মুগ্ধ
চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে প্রতিবছরের ১২ই বৈশাখে আয়োজিত হয় ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা। এই খেলায় অংশগ্রহণকারীদেরকে বলা হয় “বলী”। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কুস্তি খেলা কে “বলীখেলা” নামে অভিহিত করা হয়।
 
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলার ১১৫ তম আসর অনুষ্ঠিত হলো এবার।করোনাকালীন সময়ে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই মেলা আয়োজন করা হয়নি। জানা যায়, মূলত বদরপতি এলাকার ব্যবসায়ী মরহুম আবদুল জব্বার সওদাগর ১৯০৯ সালে এ কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সময়ের পরিক্রমায় এই আয়োজন ধীরে ধীরে এখন জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
 
১১৫ তম জব্বা‌রের ব‌লিখেলাকে কেন্দ্র ক‌রে চট্টগ্রাম লালদিঘী এলাকায় ২৪, ২৫, ২৬ এ‌প্রিল ৩‌দিন ব্যা‌পী বৈশাখী মেলা চলবে। এবারের জব্বারের বলীখেলায় ১১৫ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার বাঘা বলী, ২য় এবং ৩য় হয়েছেন যথাক্রমে কুমিল্লার রাশেদ বলী ও খাগড়াছড়ির সৃজন বলী।

জব্বারের বলীখেলা একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যমন্ডিত প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত। এই বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদিঘী ময়দানের আশেপাশে প্রায়  কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়। দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন এই বৈশাখী মেলায়।বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র, ঝাড়ু, হাত পাখা, শীতল পাটি, নানা বর্ণের, নানা রঙের বিচিত্র হাঁড়ি, মাটির ঘোড়া, হাতি, ষাঁড়, পুতুল, মাছ, বাঁশের তৈরি কুলা, ডালা, ঝুড়ি, চালুন, মাছ ধরার চাঁই সহ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র দিয়ে ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান সুসজ্জিত করে তোলেন।

মাটির তৈরি জিনিসপত্র গুলোতে ফুঠে উঠেছে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন প্রবাহ। তাঁদের সুনিপুণ দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় যেন এক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে কারুকাজ গুলো। এমন কারুকাজ তাঁদের সুন্দর চিন্তাভাবনারই প্রতিচ্ছবি। মাটির তৈরি এই কারুকাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। তবে প্রচন্ড গরমেও মেলায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

মেলায় আসা এক মহিলা বিক্রেতা বলেন, এই জব্বারে বলী খেলা হইলো আমাগো একডা আবেগ। বইয়া তাহি এই মেলা কবে আইবো এডির লাইগা। বেশ ভালাই হয়তাসে বেচাকেনা। এই গরমেও যে এতো মানুষ মেলায় আঁইবো এডি কল্পনাও করি নো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর