রাজধানীর রামপুরায় বাসে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রামপুরা থেকে স্বপন রেজা (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর শহিদ ব্যাপারী (২২) নামে আরেক ব্যক্তিকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে.
তিনি বলেন, রামপুরা থানায় বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার স্বপন ব্যক্তিগত গাড়ির (প্রাইভেটকার) চালক। আর শহিদ তার বাবার সবজি ব্যবসায় সহায়তা করেন।
ওসি বলেন, একই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। ওই মামলায় ঘটনার পরের দিন হাতিরঝিলের মীরেরবাগ এলাকা থেকে এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ। তাকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আটক কিশোরকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা টিভি রোডের পলাশবাগ এলাকায় বাসচাপায় নিহত হয় মাইনুদ্দিন। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইনুদ্দিন তার ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস আরেক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে মাইনুদ্দিনকে চাপা দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ৯টি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় আরও তিনটি বাস ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসচালককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: