কক্সবাজার এলাকার স্থানীয় জনগণের একটি অংশ মাদককে পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে মনে করে। এ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক এমনকি অন্য পেশারও কেউ কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণিতে মাদক ব্যবসার এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। রোববারের (৭ নভেম্বর) বৈঠকে কার্যবিরণীটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মাদক নির্মূলে এমপি-মন্ত্রীসহ সব শ্রেণির মানুষকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার প্রস্তাব উঠে। পরে এই প্রস্তাবের আংশিক সুপারিশ আকারে নিয়ে আসা হয়।
অবশ্য সভাপতি সব শ্রেণিকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার প্রস্তাব করলেও তার আংশিক সুপারিশ আকারে নিয়ে আসা হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব সরকারি সংস্থা, দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়মিত ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে বলে সুপারিশ করা হয়।
এসময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের কিছু শিক্ষক মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় এসব ব্যক্তি মাদক কেনাবেচাকে পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে মনে করে। সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা রোধ করা একটু কঠিন হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: