সাম্প্রদায়িক হামলা: ‘সংখ্যালঘু’ সুরক্ষায় আইনের দাবি

সময় ট্রিবিউন | ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৩৬

ফাইল ছবি

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।

সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সেখান থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ করা হয়।

এর আগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল থেকে সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিচার ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ।

শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বলেন, “সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ ও কমিশন গঠন করতে আমরা সরকারকে দুই সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই দুই সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের তৎপরতা না দেখলে আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় বরাবর পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

অবরোধ কর্মসূচি থেকে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত সময় সাম্প্রদায়িক হামলা বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিটিকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়।

শাহবাগে বিক্ষোভ চলাকালে বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় বলেন, "আপনারা জানেন দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর কী নারকীয় হামলা হয়েছে। প্রশাসন সেখানে তাদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতররা বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে।

"এর আগেও সাম্প্রদায়িক হামলায় সংখ্যালঘুরা বিচার পায়নি। হামলার কুশীলবরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। আমরা চাই, হামলার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদেরকেও যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।"

এরআগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘জাগো রে জাগো, হিন্দু জাগো’, ‘মৌলবাদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘জিহাদিদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রংপুরে আগুন কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শাহবাগের কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট, শারদাঞ্জালি ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু লয়ার্স অর্গানাইজেশন (বিএইচএলও), আর্য প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশ, জাগো হিন্দু পরিষদ, ঢাকা ওয়ারী রবিদাস হিন্দু কল্যাণ সংঘ, ভক্ত সংঘ, হিন্দু সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংরক্ষণ সমিতি, ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন, ঢাকা বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর