বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছে, মনে হচ্ছে তারা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না। কারণ, হয় ইভ্যালি টাকা সরিয়ে নিয়েছে, না হয় বিজ্ঞাপনের পেছনে প্রচুর টাকা খরচ করেছে। খেলাধুলাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্পনসর করেছে। এখন তাদের কাছে মনে হয় টাকা নেই। তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুযোগও নেই।’
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ই-কমার্স নিয়ে আলাদা একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করার কথা জানান সংবাদ সম্মেলনে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে একটি ডিজিটাল ই-কমার্স আইন করা হবে। আর যাঁরা ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান, সবাইকে নিবন্ধিত হবে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ই-কমার্স বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে মানুষকেও সচেতন হওয়া জরুরি। এক টাকার একটি পণ্য কীভাবে ৫০ পয়সায় দেওয়া হয়, এসব নিয়ে মানুষকে চিন্তা করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন কেউ ই-কমার্স ব্যবসায় এলে তাকে নজরদারি করা হবে। কোথাও এমন লোভনীয় অফার দেওয়া হয় কি না, তা দেখভাল করা হবে। একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে কাজে লাগানো হবে। আর মানি লন্ডারিং আইন ও ডিজিটাল অ্যাক্টে সংশোধন আনা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠানো সমাধান নয়। ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা যাতে টাকা ফেরত পান, সরকার সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও যাতে শাস্তি পায়, সেটি নিশ্চিত করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে কয়েক হাজারের মতো ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সার্বিকভাবে ই–কমার্স খাতকে খারাপ বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন টিপু মুনশি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: