শারীরিক গঠনের দিক থেকে মস্তবড় হওয়ায় আদর করে নারী উদ্যোক্তা সোমা খান গরুটির নাম রেখেছিল ‘রাজাবাবু'। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিশাল আকৃতির এই গরুটি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পশু টি দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ভিড় করছে খামারে। বর্তমানে রাজাবাবুর দাম উঠেছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। আশা অনুরূপ দাম পেলেই উদ্যোক্তা সোমা খান বিক্রি করে দিবেন কেরানীগঞ্জের রাজাবাবুকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ষাঁড় গরু সংগ্রহ করে কোরবানির ঈদের জন্য দীর্ঘ নয় মাস লালন পালন করেছে ইউশা এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম কর্মরত খামারিরা।
এবারের ঈদের জন্য তারা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩১টি গরু প্রস্তুত করেছেন। করোনাকালীন সময়ের জন্য খামারের গরু হাটে নিবেন না ইউশা এগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামারে এসে ক্রেতা গরু দেখে যাচ্ছে এবং ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে সোমা খান বলেন, আমার খামারে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গরু এর মধ্যে অন্যতম হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান, দেশি ভুটানি, পাকিস্তানি পাকরা, গিট, ক্যাডবেরি, শাহীওয়াল, অস্ট্রেলিয়ান সহ নানা প্রজাতির গরু। আদর করে এদের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। করোনার বিধিনিষেধ মেনে যারা খামারে আসছে তাদের স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পা পরিষ্কার করে খামারে আসতে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারের মতো আমি গরু ক্রয় বিক্রয় করছি। আমি আশা করছি গরুর হাটে নিয়ে যাওয়া লাগবেনা খামার থেকে বিক্রি হয়ে যাবে। সকলের কাছে আহবান করবো তারা যেন এসে আমার গরু গুলো দেখা যায়। খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে আমি গরু গুলো বিক্রয় করে থাকি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খেয়ে গরুগুলোকে লালন পালন করছি। এবার আমাদের পরিকল্পনা আছে আমরা সারাবছর আমাদের খামার থেকে গরু বিক্রি করব। এবং অনলাইনে গরুর মাংস বিক্রি করার পরিকল্পনা চলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: