শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ খোলার পরেও রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার সরকারি পরিবহন বিআরটিসিতে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ফুল ভাড়া!
রবিবার (১৭ জুলাই) কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার বিআরটিসি টিকেট কাউন্টার থেকে হাফ ভাড়া দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের টিকেট দেওয়া হয়নি। কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে ফুল ভাড়া দিতে হবে, হাফ ভাড়া কার্যকর হবে ২০ তারিখ থেকে কিন্তু রাজধানীর সব রাস্তায়ই হাফ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা সময় ট্রিবিউনকে জানান, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চনব্রিজ এর ভাড়া হচ্ছে ৩৫ টাকা সেখানে শিক্ষার্থীদের থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হয় ২০ টাকা, কিন্তু তারা ঈদের আগে বলেছিল যে ৬-১৬ জুলাই কোনো হাফ ভাড়া নেই।আজকে ১৭ তারিখ সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে খোলা, যেখানে ঢাকা মেট্রোতে চালাচলকারী সকল পরিবহনে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সেখানে সরকারি পরিবহন হওয়ার পরের তারা ফুল ভাড়া নিচ্ছে, কারণ হিসেবে জানতে চাইলে বলা হয় যে ২০ তারিখের পর থেকে নেওয়া হবে হাফ ভাড়া এইটা নাকি তাদের নিয়ম। যা রাষ্টীয় পরিবহন থেকে আমরা ছাত্রসমাজ কামনা করি না।
ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম বলেন, বিআরটিসি বাসের যাত্রী পরিবহন ব্যাবস্থা খুবই বাজে এবং নিম্ন মানের। গাড়ির সিট ভাঙা, হেল্পাররা যাত্রীদের সাথে খুবি বাজে আচরণ করে! এক গাড়িতে ২/৩ গাড়ির যাত্রী তোলা হয়। এই ভোগান্তি নিয়ে কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করলে কাউন্টার এর লোকজন এবং হেল্পাররা যাত্রীদের হেনস্তা করে। বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে খুবই বাজে আচরণ করে। এই রোড দিয়ে দৈনিক প্রায় অনেক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে, হাফ ভাড়া নিয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সাথে ঝামেলা করে বাসের হেল্পাররা এবং টিকেট কাউন্টার এর লোকজন। হাফ ভাড়া তারা যেইদিন নিতে তাদের ইচ্ছে করবে না ওইদিন কোনো শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে চাইলে তাকে হেনস্তা করা হয় এমনকি বাসে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। তাদের কে বাসে উঠতে দেওয়া হয় না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, এ বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে আমলে নেওয়া হোক এবং যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করার হোক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: