ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলাদীনের প্রদীপের মার্চেন্টরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে৷ এসময় তারা আলাদিনের প্রদীপের অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করে অতি দ্রুত মার্চেন্টদের পেমেন্ট দেওয়াসহ ছয়টি দাবি জানায়। দাবি মানা না হলে আমরণ অনশন করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারি দেয় তারা৷
মার্চেন্টদের ছয়টি দাবি হলো: আলাদিনের প্রদীপের অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করে অতি দ্রুত মার্চেন্ট/সেলার পেমেন্ট দেওয়া, গেটওয়ে থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর টাকা রিলিজ করার নীতিমালা করা, ছোটো উদ্যোক্তাদের কষ্টের টাকা আটকে রেখে ভবিষ্যতে দেশে উদ্যোক্তা তৈরির পথে বাধা তৈরি না করা, আলাদিনের প্রদীপে শিক্ষার্থীদের বিনিয়োগ কৃত টাকা যত দ্রুত সম্ভব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম অতি দ্রুত শুরু করার নির্দেশ প্রদান করা, যদি নিরাপত্তা জনিত কোনো কারন থেকে থাকে তবে আলাদীনের প্রদীপকে প্রশাসনের বিশেষ নজরে রেখে মার্চেন্ট পেমেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং ই-কমার্সের মার্চেন্টদের পেমেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য কাস্টমারদের ন্যায় দ্রুত সেলারদের জন্য নীতিমালা প্রনয়ণ করা৷
সংবাদ সম্মেলনে আলাদীনের প্রদীপের মার্চেন্টদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি ইসলাম শিক্ষা বিভাগের তাইজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থী, আমাদের পুঁজিও কম। তবে স্বপ্ন ছিল এগিয়ে যাওয়ার। আমাদের সকলেরই ইচ্ছে ছিল ধীরে ধীরে উদ্যোক্তা হয়ে উঠার। সেই স্বপ্ন ও স্বল্প পুঁজি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন আজ ধূলিসাৎ হওয়ার পথে। আপনারা জানেন যে, ইতোমধ্যে ‘এসক্রো’ সার্ভিস সিস্টেমে আটকা থাকা টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নোটিশ দিয়েছে। তবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ফ্রিজ থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করা নিয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। ফলে আমাদের মতো ছোট মার্চেন্ট বা সেলাররা এখন দিশেহারা। মাসের পর মাস এভাবে টাকা আটকা থাকায় আমরা আর্থিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অতিদ্রুত প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ও বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি দেওয়ার কথা জানান এবং দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: