নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সময় ট্রিবিউন | ২২ নভেম্বর ২০২১, ১২:২০

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর-ফাইল ছবি

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পর তার বিরুদ্ধে তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

বুয়েট উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে অধ্যাপক নিখিলের বিরুদ্ধে নেওয়া এ ব্যবস্থার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

অধ্যাপক নিখিল বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নাম আসায় এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন তিনি।

বুয়েট উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পদাধিকারবলে তিনি ভর্তি কমিটিরও একজন সদস্য। সেই পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, তার (নিখিল রঞ্জন ধর) বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আমরা জেনেছি, সেগুলো তদন্ত করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ সরকারি ব্যাংকের ‘অফিসার (ক্যাশ)’-এর ১ হাজার ৫১১টি শূন্য পদের বিপরীতে পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অনুষ্ঠিত সেই পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর কিছু তথ্যপ্রমাণও তুলে ধরেন তারা।

পরবর্তী সময়ে এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সেই পরীক্ষা বাতিল করে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বুয়েট অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে।

পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরীক্ষা পরিচালনার সুযোগ না দিতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর